উসমানীয় খিলাফাতের পতন হোলো যেভাবে (সংক্ষিপ্ত)
![]() | |
শেষ উসমানীয় খলীফা দ্বিতীয় আব্দুল মাজিদ |
দ্বিতীয় আব্দুল মাজিদ ১৯২২ থেকে ১৯২৪ পর্যন্ত খলীফা হিসেবে অধিষ্ঠিত ছিলেন, আসলে তখন খলীফা পদটি প্রতীকী ধর্মী ছিল, আব্দুল মাজিদের হাতে কোনো ক্ষমতা ছিল না। তিনি শুধুই খলীফা ছিলেন, সুলতান ছিলেন না। সুলতান পদটি ১৯২২ সালে বিলুপ্ত করে দেয়া হয়, তখন সব ক্ষমতা গ্র্যান্ড ন্যাশনাল এসেম্বলির হাতে ছিল। ১৯২৪ সালে খলীফা পদটিও বিলুপ্ত করে দেয়া হয়। এরপর শুরু হয় জালিম আতাতুর্কের শাসন, ইসলামের নাম নিশানা মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়।
শেষ স্বাধীন উসমানীয় সুলতান ছিলেন দ্বিতীয় আব্দুল হামিদ। ১৯০৯ সালে
ইউরোপ-প্রভাবিত কমিটি অব ইউনিয়ন অ্যান্ড প্রগ্রেস ক্ষমতা দখল করে নিলে তাকে
পদচ্যুত করে পঞ্চম মুহাম্মদকে বসানো হয়। তখন থেকে পাশারা দেশ চালাতো।
কিন্তু পঞ্চম মুহাম্মদ কমিটির প্রভাব মুক্ত হয়ে নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার
চেষ্টা চালান। এক হিসেবে তিনিও স্বাধীন ছিলেন, তিনি জাতীয় পরিষদ ভেঙ্গে
দেন, কমিটি অব ইউনিয়ন অ্যান্ড প্রগ্রেস সরকারের পতন ঘটান। কিন্তু দুঃখজনক
তিনি ১৯১৮ সালে মারা যান।
এরপর ষষ্ঠ মুহাম্মদ মসনদে বসেন, ১৯১৮ থেকে ২২ পর্যন্ত তিনি সুলতান ছিলেন, এ সময়টা যুদ্ধ বিগ্রহ চলছিল, তিন মহাদেশে বিস্তৃত উসমানীয় সাম্রাজ্য তখন টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। এদিকে সেকুলার ইয়াং টার্কসদের দমন করতে পারেন নি ৬ষ্ঠ মুহাম্মদ। এর কারণ সেনাবাহিনী তার হাতে ছিল না। ষষ্ঠ মুহাম্মদ যে অযোগ্য ছিলেন তাও নয়। ঘটনা প্রবাহে ইয়াং টার্ক্সরা কিছু অঞ্চল দখল করে নেয়। আংকারার সরকার ছিল আতাতুর্কের হাতে, শেষ পর্যন্ত আংকারা সরকার সুলতান পদ বিলুপ্তের ঘোষণা দেয়, ভগ্নহৃদয়ে সুলতান তখন ক্ষমতা ছেড়ে দেশ ছেড়ে চলে যান, তিনি আর গৃহযুদ্ধ চান নি।
এরপর আব্দুল মাজিদকে নামে মাত্র খলীফা হিসেবে বসানো হয়। ১৯২৪ সালে তাকেও পদচ্যুত করে আতাতুর্ক এক ভয়ঙ্কর শাসন কায়েম করেন।
খিলাফাতের পতন ঘটলো কিন্তু মুসলিম ভ্রাতৃত্বের উদাহরণ রয়ে গেলো, আমাদের উপমহাদেশে খিলাফত আন্দোলন হোলো যা স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রভাব ফেলেছিল।
এরপর ষষ্ঠ মুহাম্মদ মসনদে বসেন, ১৯১৮ থেকে ২২ পর্যন্ত তিনি সুলতান ছিলেন, এ সময়টা যুদ্ধ বিগ্রহ চলছিল, তিন মহাদেশে বিস্তৃত উসমানীয় সাম্রাজ্য তখন টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। এদিকে সেকুলার ইয়াং টার্কসদের দমন করতে পারেন নি ৬ষ্ঠ মুহাম্মদ। এর কারণ সেনাবাহিনী তার হাতে ছিল না। ষষ্ঠ মুহাম্মদ যে অযোগ্য ছিলেন তাও নয়। ঘটনা প্রবাহে ইয়াং টার্ক্সরা কিছু অঞ্চল দখল করে নেয়। আংকারার সরকার ছিল আতাতুর্কের হাতে, শেষ পর্যন্ত আংকারা সরকার সুলতান পদ বিলুপ্তের ঘোষণা দেয়, ভগ্নহৃদয়ে সুলতান তখন ক্ষমতা ছেড়ে দেশ ছেড়ে চলে যান, তিনি আর গৃহযুদ্ধ চান নি।
এরপর আব্দুল মাজিদকে নামে মাত্র খলীফা হিসেবে বসানো হয়। ১৯২৪ সালে তাকেও পদচ্যুত করে আতাতুর্ক এক ভয়ঙ্কর শাসন কায়েম করেন।
খিলাফাতের পতন ঘটলো কিন্তু মুসলিম ভ্রাতৃত্বের উদাহরণ রয়ে গেলো, আমাদের উপমহাদেশে খিলাফত আন্দোলন হোলো যা স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রভাব ফেলেছিল।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন